আলোচিত মিতু হত্যা নিয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ধানমন্ডি মডেল থানায় এ মামলা করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।
এতে আসামি করা হয়েছে প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন, সাবেক এসপি বাবুল আকতার, বাবুল আকতারের ভাই হাবিবুর রহমান লাবু ও বাবা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়াকে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার পর ধানমন্ডি থানায় আসেন পিবিআইয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এরপর পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন চারজনের বিরুদ্ধে।
বাদী বনজ কুমার মজুমদারের পক্ষে ধানমন্ডি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম। পরে এটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রচার হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
সেখানে পিবিআই প্রধানকে অভিযুক্ত করে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হয়। সেই তথ্য প্রচার করেন প্রবাসী ইলিয়াস হোসেন, বাবুল আক্তার ও তার ভাই হাবিবুর রহমান লাবুসহ চারজন।
ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া বলেন, পিবিআই প্রধানের সঙ্গে কথা হয়েছে। মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রবিউল ইসলামকে।
পিবিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই ভিডিওসহ সব কিছুই ভুয়া ও বানোয়াট তাই আইনি প্রতিকার পেতেই করা হয়েছে এ মামলা।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু।
ঘটনার সময় এসপি বাবুল আক্তার ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। চট্টগ্রামে ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় মিতু হত্যাকাণ্ডে তারই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই।
এরপর গত বছরের ১২ মে আগের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার দিন বাবুলকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা।
ওই দিনই মামলাটিতে বাবুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পিবিআই। সেই থেকে কারাগারে আছেন বাবুল আকতার। দুটি মামলারই তদন্ত করছে পিবিআই।
এদিকে ইলিয়াসের ভিডিও প্রকাশের পরই বনজ কুমারসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন বাবুল আক্তার। তবে, সে আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।