আর মাত্র একদিন বাদেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এবারের ভোটগ্রহণকে সামনে রেখে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ব্যালট পেপারে ইংরেজির পাশাপাশি ঠাঁই দেওয়া হয়েছে চারটি বিদেশি ভাষাকে, যার মধ্যে অন্যতম বাংলা।
গুগল নিউজে ফলো করুন আরটিভি অনলাইন
সোমবার (৪ নভেম্বর) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পরিচালনাকারী সংস্থা বোর্ড অব ইলেকশন্সের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য শাখার নির্বাহী পরিচালক মাইকেল জে রায়ান।
নিউইয়র্কের প্রধান শহর নিউইয়র্ক সিটিতে আয়োজিত সেই ব্রিফিংয়ে রায়ান বলেন, অভিবাসী ভোটারদের সুবিধার কথা চিন্তা করে এবার ব্যালট পেপারে ইংরেজির পাশাপাশি ৪ টি ভাষা অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড অব ইলেকশন্স নিউইয়র্ক শাখা। এই ভাষাগুলো হলো চীনা, স্প্যানিশ, কোরিয়ান এবং বাংলা।
নিউইয়র্ক সিটির বিখ্যাত টাইমস স্কয়্যার এলাকার একটি দোকানে কাজ করেন শুভাশিষ, যিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে নিউিইয়র্কে গিয়ে স্থায়ী হয়েছেন। এনডিটিভি ওয়ার্ল্ডকে শুভাশিষ বলেন, আমি নিজে ইংরেজি ভাষায় দক্ষ, তবে এখানে আমাদের কমিউনিটিতে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা বাংলা ভাষার ব্যালট পেপার দেখলে স্বস্তি বোধ করবেন। ভোটকেন্দ্রে এটি তাদের জন্য সহায়ক হবে। আমি নিশ্চিত যে আমার বাবা এই ব্যাপারটি পছন্দ করবেন।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের মোট অভিবাসীর বড় একটি অংশ বাস করেন নিউইয়র্ক সিটিসহ স্টেটটির বিভিন্ন শহরে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, পুরো নিউইয়র্কে ২ শতাধিক ভাষায় কথা বলেন লোকজন। কিন্তু এতসব ভাষার মধ্যে বেছে নেওয়া হয়েছে বাংলাকে।
ব্রিফিংয়ে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে মাইকেল জে রায়ান বলেন, আমি বুঝতে পারছি যে (ব্যালট পেপারের জন্য) অন্যান্য ভারতীয় ভাষাকে বাদ দিয়ে শুধু বাংলাকে বেছে নেওয়ায় অন্যান্য ভাষাভাষী ভারতীয়রা হয়ত মনোঃক্ষুন্ন হয়েছেন, কিন্তু এটা ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো বিকল্প ছিল না।
যুক্তরাষ্ট্রের ভোটার অধিকার আইন, ১৯৬৫-এর আওতায় দু’বছর আগে একটি মামলা করা হয়েছিল নিউইয়র্কের আদালতে। বাদীদের দাবি ছিল, নিউইয়র্কে যেসব অঞ্চলে অভিবাসীদের সংখ্যা বেশি, সেসব অঞ্চলে ইংরেজির পাশাপাশি অন্তত একটি অভিবাসী ভাষায় ব্যালট পেপার প্রদান করা হোক। পরে নিউইয়র্কের রাজ্য প্রশাসন ও মামলাকারী— দু’পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে এই চার ভাষায় ব্যালট পেপার প্রকাশের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।