Close

আরেকটি এক এগারো সরকারের স্বপ্ন দেখছেন ড. ইউনূস

ড. ইউনূস এখন প্যারিসে অবস্থান করছেন। সেখানে প্যারিস অলিম্পিকে যোগদান করতে তিনি বাংলাদেশে তাণ্ডব এবং সহিংসতার মধ্যে চলে গেছেন। ড. ইউনূস এরকমই একজন ব্যক্তি যিনি বাংলাদেশে কোনও সংকট হলেই বিদেশে চলে যান। এর আগে ড. কামাল হোসেন ছিলেন এ রকম যিনি, বাংলাদেশের কোনও ঝুট ঝামেলা হলে বিদেশে চলে যেতেন। তার ব্যাগ সব সময়ে গোছানো থাকত। এখন সেই মহান দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ড. ইউনূস। তবে এবার তিনি প্যারিসে গিয়ে চুপচাপ বসে নেই। বরং সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। এবার তিনি এক এগারোর মত আরেকটি পরিস্থিতির সৃষ্টি করার জন্যআ দাজল খেয়ে নেমেছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে দ্যা হিন্দু পত্রিকায় প্রকাশিত ড. ইউনূসের ইন্টারভিউ থেকে সুস্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে যে, তিনি সরকার পরিবর্তনের জন্য ডাক দিয়েছেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল, সাম্প্রতিক সময়ে তারেক জিয়া প্রণীত এবং মির্জা ফখরুলের নামে প্রচারিত যে জাতীয় ঐক্যের বিবৃতি দেখা যাচ্ছে, সেই বিবৃতির সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তারেককে দিয়ে এই বিবৃতি দিয়েছেন। এই বিবৃতির ভাষা এবং ইউনূসের হিন্দুত্বে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভাষার অনেক জায়গা গুলো হুবহু মিল পাওয়া গেছে। ড. ইউনূস জানেন যে তিনি একা সরকার হটাতে পারবেন না এবং শুধুমাত্র তার কথায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এরকম ঝুঁকি নেবে না। এই কারণেই তিনি বাংলাদেশে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চান।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের ফলে সারাদেশে যে তাণ্ডব এবং নাশকতা সৃষ্টি হয়েছিল, তাতে এরকম একটি আবহ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকার খুব কঠোরভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম হন। কারফিউ জারি করে এবং সেনা মোতায়েনের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদেরকে থামাতে পারে সরকার। এরকম ঘটনা যেন আবার ঘটে সেজন্য ড. ইউনূস উস্কে দিচ্ছেন। আর এই কারণেই ড. ইউনূসের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষাঙ্গনে নতুন করে অসন্তোষ সৃষ্টির জন্য শিক্ষকদের একটি অংশ মাঠে নেমে পড়েছে। তারা কোটা আন্দোলনের দাবি মেনে নেওয়ার পরও এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন। এখানে ড. ইউনূসের সহযোগীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বিএনপির সাথেও ড. ইউনূসের যোগাযোগের খবর পাওয়া গেছে।

ড. ইউনূসের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে বিএনপি নতুন করে একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে বলেও একাধিক সূত্র জানিয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য শ্রেণি পেশার মধ্যেও এক ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টি করে ইউনূস একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছেন। এটি যেন ঠিক এক এগারোর ব্লু প্রিন্ট। ওই সময়ে রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে একটি অনির্বাচিত সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। সেই সময় জ্বালাপোড়া হয়েছিল, কিন্তু পার্থক্য হল তখন যখন সেনাবাহিনী ড. ইয়াজউদ্দিনের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিয়ন্ত্রণে ছিলো না।

ইয়াজউদ্দিনের পক্ষপাত এবং বিএনপির প্রতি তার অন্ধ আনুগত্যের কারণে সেনাবাহিনীকে একটি অবস্থান নিতে হয়। কিন্তু এবার অবস্থান ভিন্ন। অনেকে মনে করছেন এক এগারো আনার ক্ষেত্রে জাতিসংঘ মিশনের একটি ভুয়া বিবৃতি প্রচার করা হয়েছিল। এবারও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সেভাবে সরকারের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশেষ করে জাতিসংঘকে এ ব্যাপারে প্ররোচিত করা হচ্ছে। তাই ড. ইউনূসের গতিবিধির দিকে এখন নজর রাখাটা অন্তত জরুরি বলে অনেকে মনে করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

0 Comments
scroll to top