চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম এম এ ওহাব স্মারক গ্রন্থ উন্মোচন ও স্মরণ সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেছেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অনেক রাজনীতিবিদের সাথে মেশার সুযোগ হয়েছে এবং তাদের রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিবিড়ভাবে প্রত্যক্ষ করেছি, কিন্তু সাধারণ মানুষের মন কিভাবে জয় করতে হয় ত্যাগ এবং আদর্শের রাজনীতি কিভাবে করতে হয় তা শিখেছি মুষ্টিমেয় কয়েকজন নেতার কাছ থেকে, তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন জননেতা মরহুম এম এ ওহাব, ধরে নেয়া যায় উনি আমার একজন রাজনৈতিক শিক্ষক ছিলেন।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের এল জি ই ডি মিলনাতনে এম. এ ওহাব স্মরণে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ যৌথভাবে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বর্তমান দ্রব্যমূল্য নিয়ে বিরোধী দল সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে কিন্তু ইউরোপ আমেরিকার বাজারের চেয়ে বাংলাদেশে তা অনেক কম, তথাকথিত আন্দোলনের হুমকি প্রসঙ্গে জনাব মোশাররফ বলেন অতীতে অগ্নি ও বোমা সন্ত্রাস চালিয়ে বি এন পি – জামাত অনেক মানুষ হত্যা করেছিলো, পুনঃরায় সে ধরণের কোন কর্মকান্ড চালানোর চেষ্টা করা হলে জনগনকে সাথে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে। জননেতা মরহুম এম এ ওহাব স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ করায় পরিবারের সদস্যদের ধন্যবাদ জানান, চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ যৌথ ভাবে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ এমপি বলেন, এম এ ওহাবদের মতো মানব দরদী রাজনীতিবিদ আজকাল তেমন চোখে পরেনা, উনাদের রাজনীতি ছিলো ত্যাগ আর আদর্শের আর এখনকার রাজনীতি হচ্ছে ভোগ বিলাসের, বর্তমানে অনেককে দেখা যায় তারা যেন এলাকার রাজা হয়ে গেছেন, জনতার জন্যে তাদের কোন দরদ নেই।
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম বলেন, এম এ ওহাব একজন একেবারে তৃণমূলের নেতা ছিলেন, তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ছিলো কিন্তু তিনি রাজনীতিকে ব্রত হিসেবেই নিয়েছিলেন, সাধারণ মানুষের মতোই তিনি চলাফেরা করতেন, তার মতো শুদ্ধ রাজনীতিবিদ আমার জীবনে তেমন চোখে পরেনি।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, মরহুম এম এ ওহাবের মতো নেতাদের জীবন থেকে শিক্ষা নিতে পারলে একজন পরিশুদ্ধ রাজনীতিবিদ হওয়া যায়, তিনি রাজনীতির এক আদর্শ পুরুষ ছিলেন। উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ মো: আতাউর রহমান বলেন, এম এ ওহাবের কাছাকাছি যাওয়ার আমার সুযোগ হয়েছিলো, তার মধ্যে কোনদিন ভোগ বিলাসের মানসিকতা দেখিনি, বর্তমান প্রজন্মের জন্য তিনি এক মহান আদর্শ।
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি অধ্যাপক মো: মঈনুদ্দিন, এড. ফখরুদ্দিন চৌধুরী, মো আবুল কালাম আজাদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, মহিউদ্দিন রাশেদ, আফতাব উদ্দিন চৌধুরী, আবুল কাশেম চিশতি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল আনোয়ার চৌধুরী বাহার, উত্তর, দক্ষিণ, মহানগর আওয়ামী লীগ সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য যথাক্রমে চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনি, মহিউদ্দিন বাবলু, আলাউদ্দিন সাবেরী, এম এ হান্নান মঞ্জু, জাফর আহমেদ, আবদুল কাদের সুজন,নাজিম উদ্দিন তালুকদার, ইঞ্জিনিয়ার মেজবাহ উল আলম লাভলু, আবু তালেব, আ স ম ইয়াছিন মাহমুদ, কার্যনির্বাহী সদস্য ফোরকান উদ্দিন আহমেদ, ফেরদৌস হোসেন আরিফ, গোলাম রব্বানী, মহিউদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, সেলিম উদ্দিন, আখতার হোসেন খান, বখতেয়ার সাঈদ ইরান, হাসিবুন সুহাদ চৌধুরী সাকিব, আখতার উদ্দিন মাহমুদ পারভেজ, মরহুমের সন্তান ডাঃ নুরুদ্দিন জাহেদ, হাটহাজারী উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম রাশেদুল আলম, মহিলা আওয়ামী লীগের দিলোয়ারা ইউসুফ, এড. বাসন্তী প্রভা পালিত, শামীমা হারুন লুবনা, কৃষক লীগের শফিকুল ইসলাম, যুবলীগের নুরুল মোস্তফা মানিক, রাশেদ খান মেনন, সৈয়দ মঞ্জুরুল আলম, নাছির হায়দার বাবুল, আবু তৈয়ব, যুব মহিলা লীগের রওশন আরা রত্না, এড. জুবাঈদা সরোয়ার নিপা প্রমুখ।