অসম বয়সের সঙ্গে জুড়ি বাধা এই মুহূর্তে হয়ে গিয়েছে আমাদের সামাজিক রেওয়াজ। সকলেই মনে করে থাকেন প্রেমিক হবেন বড় আর প্রেমিকা হবেন তার থেকে অপেক্ষাকৃত কম বয়সী। বহু যুগ থেকেই এই পুরোনো নীতি চলে আসছে। আর বিয়ের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ পুরুষ এইরকমই রীতি মেনে চলতে পছন্দ করেন। কিন্তু সমাজের চেনা গতে অনেকেই বাধা পড়তে চান না। সৃষ্টিছাড়া বলে তাদের গালমন্দ করা হলেও, প্রেম তো আর বয়সের বেড়াজালে বাঁধা থাকে না। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় প্রেমিকের তুলনায় প্রেমিকার বয়স বেশি। সে নিক-প্রিয়াংকা জুটি হোক বা মালাইকা অরোরা এবং অর্জুন কাপুর, সকলে নিজের থেকে বয়সে বড় প্রেমিকায় মজেছেন। এটাই এখন হয়ে গেছে নতুন ট্রেন্ড! কিন্তু কেন নিজের থেকে বয়সে বড় মহিলা প্রেমে পড়েন পুরুষেরা?
১. যদি প্রেমিকা আপনার থেকে বয়সে ছোট হয় তাহলে তার থাকবে হাজারও বায়ানাক্কা। তার সাথেই থাকবে প্রচুর আবদার। আজকে সিনেমা নিয়ে যেতে হবে তো কালকে শপিং, তার কাছে প্রেম মানে আবেগের রঙে এক ধরনের স্বপ্নের জাল বোনার মত। কিন্তু বয়সে বড় মহিলার কাছে সম্পর্ক মানে একটা দায়িত্ব। তাই আবদার করা তো দূরে থাক, বরং কোন সমস্যা হলে সমাধানের উপায় খোঁজার হয়ে ওঠে তার একমাত্র লক্ষ্য।
২. বয়সে বড় মানে তার বাস্তব অভিজ্ঞতা আপনার থেকে অনেকটাই বেশি। শুধুমাত্র নিত্য নৈতিক বিষয়ে অভিজ্ঞতা নয়, যৌনতার ক্ষেত্রেও তার দক্ষতা একজন সদ্য কলেজ পাস করা যুবতীর থেকে হবে অনেকাংশেই বেশি। তাই অনায়াসেই একজন বছর ২৫ এর যুবকও মজেছেন একজন ৩০ বছর বয়সী মহিলার প্রেমে।
৩. শুধুমাত্র সম্পর্ক থাকলেই তো হবে না, সম্পর্ক মানে পরিণতি পাওয়ার একটা সুপ্ত বাসনা থেকেই যায়। তবে সেই সম্পর্ক পরিণতি পাওয়ার আগে বিপক্ষে পারিবারিক দিক থেকে নানা রকম সমস্যা আসতে পারে। যদি প্রেমিকা বয়সে ছোট হয় তাহলে প্রেমিককে সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে হয়। কিন্তু যদি প্রেমিকা বয়সে বড় হন তাহলে তিনি সমস্যা সমাধান করার দায়িত্ব নিতে পারেন। বয়সে বড় প্রেমিকার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি সমস্যাও কম হবে কারণ তিনি প্রতিটি পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা রাখবেন।
৪. অফিস পার্টি হোক কিংবা কোন অনুষ্ঠান, সকলেই কিন্তু অল্পবিস্তার মদ্যপান করে থাকেন। তবে আপনার প্রেমিকা যদি আপনার থেকে বয়সে ছোট হয় তাহলে আপনার মদ্যপান করা নিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করতে পারে। তাতে আপনার হ্যাংওভার কাটবে তো না, বরং সম্পর্কে চির ধরার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, যদি প্রেমিকা বয়সে বড় হয় তাহলে কিন্তু এরকম ভাবে চিৎকার চেঁচামেচি করবেন না তিনি। বরং যদি আপনি নেশাতুর হয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে সামলানোর দায়িত্ব গ্রহণ করবেন তিনি। পাশাপাশি বলবেন মদ্যপান না করার সুফল। তাতে সম্পর্কে চির ধরা তো দূর, বরং আরো শক্ত হবে আপনার সম্পর্কের ভিত।
৫. কথায় বলে একজন সফল পুরুষের জীবনে কোন না কোন একজন নারীর হাত থাকেই। অর্থাৎ কোন একজন নারীর প্রেরণা পেলে তবেই জীবনের সাফল্যের শিখর ছোঁয়ার সাহস পেয়ে থাকেন অধিকাংশ পুরুষ মানুষ। বয়সে বড় হলে নাকি প্রেমিকের সাফল্যের রাস্তাটা আরো সহজ হয়। যদি প্রেমিকা আগে থেকেই সেই সমস্ত সমস্যাগুলির ব্যাপারে জেনে থাকেন তাহলে তিনি আগে থেকে তার প্রেমিককে গাইড করতে পারেন, যাতে তার উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণে কোন সমস্যা না হয়।