কোরবানির ঈদের আর মাত্র একদিন বাকি রয়েছে। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই কোরবানি পশু নিয়ে নানা সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হচ্ছে। বিশেষ করে ওজন ও দাম নিয়ে আলোচনায় উঠে আসছে বাহারি নামের গরু। এবার সেই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে নওগাঁর ‘পদ্মা-সেতু’ নামে দুটি বিশাল আকৃতির ষাঁড়। দুটি গরুর দাম চাওয়া হচ্ছে ২৫ লাখ টাকা।
জেলার বদলগাছী উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের দরিয়াপুর গ্রামের মামুনুর রশিদ লিটন গরু দুটির মালিক। আসন্ন পবিত্র ইদুল আজহা উপলক্ষে এই ষাঁড় দুটি বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন। গরু দুটির মধ্যে কালচে রঙের ‘পদ্মার’ ওজন ৩৩মণ ও লালচে রঙের ‘সেতুর’ ওজন ৩০ মণ। এরই মধ্যে অনেকেই গরু দুটি কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
দূর-দূরান্ত থেকে ‘পদ্মা-সেতু’ কে কিনতে আসছেন ক্রেতারা। করছেন দাম-দরও। পরিবারের ছোট শিশুরা গরু দুটিকে ভূতু আর জিঁজিঁ বলে ডাকতো। সম্প্রীতি পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী শখ করে গরু দুটির নাম রেখেছেন ‘পদ্মা-সেতু’।
গরুর মালিক মামুনুর রশিদ লিটন বলেন, শখের বসে দুই বছর ৪ মাস আগে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি হাট থেকে ৬মাস বয়সের কালো রঙের ষাঁড় ৬০ হাজার টাকা এবং লাল রঙের ষাঁড় ৬৫ হাজার টাকায় কিনি। এরপর বাড়িতে নিজ সন্তানের মতো করে ষাঁড় দুটিকে যত্ন সহকারে লালন-পালন শুরু করি। কাঁচা ঘাস, বিচিকলা, গম, ধান, ভুট্টা, মাসকালাই, খেসারি কালাই, মশুর ডাল ও ভূসি দিয়ে নিজেই ব্যান্ড তৈরি করে খাওয়াই। প্রতিদিন ‘পদ্মা-সেতুর’ জন্য এক হাজার ৫০০ টাকা খরচ হয়। কেনার পর থেকে এখন পর্যন্ত ২ বছর ৪ মাসে ‘পদ্মা-সেতুর’ পেছনে সব মিলে খরচ হয়েছে প্রায় ৮ থেকে ৯ লাখ টাকা।
লিটন আরও বলেন, পদ্মার ওজন হবে ১৩শ’ কেজি আর সেতুর ওজন হবে ১২শ’ কেজি হবে। ষাঁড় দুটির দাম ২৫ লাখ টাকা। কিন্তু এখন পর্যন্ত গরু দুটির দাম উঠেছে ১৮ লাখ টাকা। মন মতো দাম পেলে বাড়ি থেকেই বিক্রি করব।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মহির উদ্দীন জানান, এবার ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জেলায় খামারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে চার লাখ ৩৩ হাজার গবাদিপশু প্রস্তুত রয়েছে। গত বছর দুই লাখ ২৫ হাজার পশু কোরবানি হয়েছিল। এবারে জেলায় প্রায় তিন লাখের বেশি পশু কোরবানি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।