অশান্ত হয়ে উঠেছে পার্বত্য চট্টগ্রামের দুই জেলা খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি। প্রথমে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটে খাগড়াছড়িতে। পরে সেটির উত্তাপ ছড়িয়েছে পাশের রাঙামাটি জেলাতেও। দুই জেলায় দফায় দফায় সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত চার জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।
খাগড়াছড়ির সদর উপজেলায় দুপুর ২টা থেকে ১৪৪ ধারা জারির নোটিশ জারি করা হয়েছে। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজন চন্দ্র রায় স্বাক্ষরিত আদেশে আজ রাত ৯টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকার কথা বলা হয়েছে।
এর আগে, খাগড়াছড়ির ঘটনার জের ধরে শুক্রবার সকাল থেকে রাঙামাটিতে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষে একজন নিহত ও কমপক্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এ সময় আঞ্চলিক পরিষদ কার্যালয়সহ কমপক্ষে ৩০টি বাড়িঘর ও দোকানপাটে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ি সদরের পানখাইয়াপাড়ার নিউজিল্যান্ড এলাকায় মামুন নামের এক যুবককে চুরির অভিযোগে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে দীঘিনালা সরকারি কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করেছিল। সেখানে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এরপর থেকেই অশান্ত হয়ে ওঠে পাহাড়ি জনপদ।
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পাহাড়ি ও বাঙালির মধ্যে সংঘর্ষের জেরে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতভর খাগড়াছড়ি জেলা সদরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। রাতের গোলাগুলি ও বিকেলের সংঘর্ষের ঘটনায় তিন জন পাহাড়ি নিহত হন। আহত হন কমপক্ষে ১৫