চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজনকে ধরতে পাঁচদিন পর আবাসিক শাহ আমনাতহলে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি। তবে কাউকে আটক করতে পারেনি তারা। এ হলে শাখা ছাত্রলীগেরসভাপতি রেজাউল হক ও তাঁর অনুসারীরা থাকেন।
শুক্রবার দিবাগত রাত ১ টায় এ অভিযান শুরু হয়। শেষ হয় রাত ২ টায়। ঘন্টাব্যাপী চলা এ অভিযানে বিভিন্ন থানার ৮০ জনপুলিশ সদস্য অংশ নিয়েছিলেন। অভিযান শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল হাসান বলেন, ওই ছাত্রী সময় ও জায়গারব্যাপারে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন। এ কারণে তাঁদের শনাক্ত করতে সময় লেগেছে। পরে ছাত্রীর তথ্যের ভিত্তিতে দুজনকে শনাক্তকরেছেন। তাঁদের একজনের নাম মেহেদী হাসান ও আরেক আজিম হোসাইন।
তবে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও প্রক্টরিয়াল বডির সূত্রে জানা যায়, আজিম হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ওমেহেদী হাসান ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁরা দুজনই শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হকের অনুসারীরাহিসাবে ক্যাস্পাসে পরিচিত। যৌন নিপীড়নের শিকার ওই ছাত্রীকে প্রক্টর কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিতে বাধা দিয়েছিলেন বলেঅভিযোগ উঠেছে রেজাউল হকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে রেজাউল হককে আইন শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িতথাকার অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
গত ১৭ জুলাই রাতে ক্যাম্পাসে পাঁচ তরুণের হাতে এক ছাত্রী যৌন নিপীড়ন ও মারধরের শিকার হন। নিপীড়নের শিকার ছাত্রীজানিয়েছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পোশাক ও কথাবার্তা শুনে মনে হয়েছে, তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়েরবোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় পাঁচ তরুণ ওই ছাত্রীকে বেঁধে বিবস্ত্র করে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গেথাকা এক বন্ধু প্রতিবাদ করলে তাঁকেও মারধর করা হয়।
সূত্রঃ প্রথম আলো