ঢাকা: জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন সাজেদা চৌধুরীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা বেনজির আহমেদ। উচ্চরক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা নিয়ে আগস্টের শেষের দিকে ঢাকার এই হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাজেদা চৌধুরীর ছেলে সাহাব আকবর চৌধুরী লাভুও। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, তার মা রাত ১১টা ৪০ মিনিটে মারা গেছেন। কখন, কোথায় জানাজা হবে তা সকালে জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
আগামীকাল সকালে পরিবারের সবাই আলোচনা সাপেক্ষে কখন কোথায় কি করবেন জানানো হবে। মারা যাওয়ার আগে তিনি সব ওসিয়ত করে গেছেন।
১৯৫৬ সাল থেকে সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ১৯৬৯–১৯৭৫ সময়কালে তিনি মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭২-১৯৭৫ সময়কালে বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ডের পরিচালক, ১৯৭২-১৯৭৬ সময়কালে বাংলাদেশ গার্ল গাইডের ন্যাশনাল কমিশনার এবং ১৯৭৬ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯২ সাল থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বও তিনি পালন করছেন। একাদশ জাতীয় সংসদে তিনি ফরিদপুর-২ আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জয়ী হন।