ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শুক্রবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
শুক্রবার সকালে জাপানের পশ্চিমাঞ্চলীয় নারা শহরে প্রচার কর্মসূচিতে দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত হন আবে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলেও তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেই জানানো হচ্ছিলো। একপর্যায়ে চিকিৎসকদের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি।
এদিকে শিনজো আবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন তার দলীয় এক কর্মকর্তা। পাবলিক ব্রডকাস্টার এনএইচকে-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, নারা শহরে হামলার শিকার হওয়া স্থানের কাছাকাছি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিনজো আবে মারা যান।
সংবাদমাধ্যম বলছে, পশ্চিমাঞ্চলীয় নারা শহরে প্রচার কর্মসূচিতে বক্তব্য দেয়ার সময় জাপানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর ওপর গুলি চালানো হয়। এরপরই লুটিয়ে পড়েন শিনজো। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিবিসি বলছে, প্রচার কর্মসূচিতে বক্তব্য দেয়ার সময় আবেকে পেছন থেকে গুলি করা হয়েছিল।
পৃথক একটি জাপানি সংবাদমাধ্যম কিয়োদো জানায়, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকে জাপানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী অচেতন অবস্থায় ছিলেন।
হামলার ঘটনার কিছু সময় পর বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপানের রাজধানী টোকিওর সাবেক গভর্নর ইয়োচি মাসুজো টুইটারে দেয়া এক বার্তায় বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর কার্ডিওপালমোনারি’তে আক্রান্ত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানের সবচেয়ে কমবয়সী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০০৭ সালে দায়িত্ব নেন শিনজো আবে। তবে অসুস্থতার কারণে ২০২০ সালের আগস্টের শেষে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করার কথা থাকলেও এক বছর আগেই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান আবে।
৬৭ বছর বয়সী শিনজো আবে সেসময় জানিয়েছিলেন, তার আলসারেটিভ কোলাইটিস রয়েছে এবং নতুন ওষুধ ব্যবহার করে তার চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। তিনি বহু বছর থেকে আলসারেটিভ কোলাইটিস রোগে ভুগছিলেন।
প্রসঙ্গত, জাপানে বন্দুক সহিংসতার ঘটনা বেশ বিরল। কারণ পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে হ্যান্ডগান বা বন্দুক নিষিদ্ধ।