প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার আগে হাওয়া ভবনে হামলার পরিকল্পনাকারী ও বাস্তবায়নকারীদের সঙ্গে বিএনপি নেতা তারেক রহমান বৈঠক করেছিলেন।
মঙ্গলবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি পোস্টে এ বিষয়ে ২ মিনিটের ভিজ্যুয়াল বিবৃতি দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ২০০৪ সালের ১৪ আগস্ট তারেক রহমান তৎকালীন বিএনপি সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং হরকাত-উল-জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান ও মাওলানা তাজউদ্দিনের সঙ্গে সেই আমলে বিএনপির বিকল্প ক্ষমতা কেন্দ্র হাওয়া ভবনে বৈঠক করেন।
তিনি বলেন, তারেক রহমান তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন, এমনকি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও রাষ্ট্রীয় সংস্থার সহায়তার প্রুতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
হাওয়া ভবনের বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ও দন্ডিত খুনি নূর চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব আবুল হারিস চৌধুরী, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু প্রমুখ।
জয় আরও বলেন, দুই দিন পর ১৬ আগস্ট রাজধানীর মিন্টো রোডে বাবরের বাসায় দ্বিতীয় বৈঠক হয়, যেখানে পুরো পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়।
অবশেষে, তারা ১৮ আগস্ট পিন্টুর বাসভবনে আবার দেখা করেন, যেখানে বাবর পিন্টুর ভাই তাজউদ্দিন ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে সাইফুল ইসলাম ডিউকের উপস্থিতিতে ইসলামপন্থী সংগঠন হরকাত-উল-জিহাদের কাছে ১২টি আর্জেস গ্রেনেড হস্তান্তর করেন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে হরকাত-উল-জিহাদ গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায়। গ্রেনেড বিস্ফোরণে আওয়ামী লীগের ২৬ জন নেতা-কর্মী নিহত হয়। পুলিশ হামলাকারীদের ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।
এমনকি আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধা দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ ঘটনাস্থলের সমস্ত আলামত নষ্ট করার জন্য দ্রুত ঘটনাস্থল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলে। পরে তারেক ও ডিউক রাষ্ট্রীয় সংস্থার সহায়তায় হামলার মূল পরিকল্পনাকারী তাজউদ্দিনকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয় বলে জয় জানান।