গাজীপুরঃ কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না তাকে। কোথায় গেলেন? গাজীপুরের বরখাস্তকৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের খোঁজ মিলল অবশেষে। আচমকাই কাউকে না জানিয়ে মঙ্গলবার দিল্লি উড়াল দিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন সূত্র গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে যে জাহাঙ্গীর নতুন করে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। কেন এই সময়ে দিল্লি গেলেন নানা কারণে বিতর্কিত জাহাঙ্গীর?
যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করছেন। কেন ঠিক এমন সময়কেই বেছে নিলেন দায়িত্বকালীন হাজারো দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া মেয়র? কি বোঝাতে চাইলেন জাহাঙ্গীর? সরকার ও গাজীপুরের নীতিনির্ধারকদের কোন বার্তা দিতে চান? এমন প্রশ্নও ভেতরে ভেতরে আছে।
আবার কেউ কেউ এমন জিজ্ঞাসাও করছেন জাহাঙ্গীর কি আড়াল হলেন? দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার দুর্নীতির সব ফাইল তলব করার পর তাহলে কি ঘাবড়েই গেলেন?
জাহাঙ্গীরের ঘনিষ্ট সূত্রগুলো অবশ্য গণমাধ্যমের কাছে এসব বলতে নারাজ। উল্টো তারা বলতে চান, যতই মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত করা হোক আর মহানগর আওয়ামী লীগ থেকে থেকে বহিস্কৃত হন, জাহাঙ্গীরের শেকড় অনেক গভীরে। কেমন?
জাহাঙ্গীরের অনুগামীরা গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, দেশে ও দেশের বাইরে জাহাঙ্গীরের শক্ত লবিং আছে। তাদের বিশ্বাস, সহসাই স্বরূপে ফিরবেন জাহাঙ্গীর।
কোনো রকম বাধা ছাড়াই বিমানবন্দর পার হওয়া আসলে কিসের প্রভাব? প্রতিপত্তি? লবিং? কোনটা প্রযোজ্য গাজীপুরের বরখাস্ত হওয়া মেয়র জাহাঙ্গীরের ক্ষেত্রে? যার বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুকে কটুক্তি করার প্রমান আছে। হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ আছে। যেসব অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করছে দুদক। তিনি কিভাবে বুক ফুলিয়ে দেশ ছাড়েন? প্রশ্ন তো উঠবেই।
জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে দুদকে যেসব অভিযোগ তার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা উপ-পরিচালক আলী আকবর।
প্রশ্নের উত্তরে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘দুদক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সবিস্তারে অনুসন্ধান করছে। তবে তার বিদেশ যাত্রায় বাধা নেই। সেটি অনুসন্ধানের পরবর্তী কার্যক্রম। অভিযুক্ত ব্যক্তি দেশ ছাড়ছেন এমন কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই বলেও জানান দুদক উপ-পরিচালক।