কাই জানান, মাত্র তিন বছর বয়সে স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। খুব বেশি শুকনা ছিলেন। বেশ কয়েকটা কাপড় পরে স্কুলে-কলেজে যেতেন। ক্লাসে অন্যদের চেয়ে একটু বেশিই কৃষ্ণবর্ণ ছিলেন। তাঁর শরীর, গায়ের রং, চুল—সবকিছু নিয়ে অন্যরা হাসাহাসি করতেন। সেই থেকে নিজের শরীর, গায়ের বর্ণ, চুল অপছন্দ করতেন তিনি। তারপর একদিন বিয়ন্সের একটা গান দেখলেন। বিয়ন্সকে নিয়ে পড়াশোনা শুরু করলেন। বিয়ন্সের ভক্ত হয়ে গেলেন। বদলে গেল তাঁর জীবন আর সৌন্দর্যের দর্শন। নিজের চুল ভালোবাসতে শুরু করলেন।
যে চুল শক্ত করে বেঁধে কলেজে যেতেন, সেই চুলগুলো খুলে স্টাইল করে ঘুরে বেড়াতে লাগলেন। মজার ব্যাপার হলো, যখন থেকে তিনি নিজের চুল ভালোবাসতে শুরু করলেন, তখন থেকে অন্যরাও তাঁর চুলের প্রশংসা করতে শুরু করলেন। বলতে শুরু করলেন, ‘তোমার এত সুন্দর চুল! তুমি কেন ঢেকে রাখতে?’ এরপর ধীরে ধীরে নিজের শরীর আর শারীরিক সৌন্দর্যকে উপলব্ধি আর উদ্যাপন করা শুরু করলেন। এভাবে গায়ের বর্ণ, ওজন, সৌন্দর্য—এগুলো নিয়ে তাঁর ধারণাই বদলে গেল। শরীরের সৌন্দর্য নিয়ে তাঁর নিজস্ব রাজনীতি অনুধাবন করতে শুরু করেন তিনি। কৃষ্ণবর্ণের নারী হিসেবে নিজের সৌন্দর্যের ধারণার রাজনীতি ছড়িয়ে দেওয়া শুরু করেন।
কাই বলেন, ‘যখন আমি একটা জিনিসকে ভালোবাসতে শুরু করলাম, তখন আমি তার সঙ্গে যুক্ত আরেকটা জিনিসকেও ভালোবাসতে শুরু করলাম। এটা নিজেকে নতুন করে চেনা আর ভালোবাসার চেইন বিক্রিয়ার মতো। আমি নিজের চুল ভালোবাসা শুরু করতেই আমার গায়ের রং আমি ভালোবেসে ফেললাম। তারপর আমার শরীরকে ভালোবাসা শুরু করলাম। নারী হিসেবে আমার যে সত্তা আর শক্তি, সেটিকে ভালোবাসলাম। আর এভাবেই আমি ক্রমে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠলাম। আর আমি নিজের ভেতরকার এই শক্তি বিভিন্নভাবে ছড়িয়ে দেওয়া শুরু করলাম। আমি যেমন একজনকে দেখে নিজেকে আবিষ্কার করেছিলাম, আমি চাই, অন্যরাও আমাকে দেখে তার নিজের শক্তি আর সৌন্দর্য উপলব্ধি করুক।’