যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠেয় ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানের সঙ্গে কোনোভাবেই সরকার যুক্ত নয় বলে নিশ্চিত করেছে ঢাকায় দেশটির দূতাবাস।
অনুষ্ঠানটিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ তিন শীর্ষ নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হলে এর আয়োজনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
বিএনপির তিন নেতাকে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলেও প্রচার চলতে থাকে বিভিন্ন ফেইসবুক পেইজে।
আয়োজনের বিষয়ে এক প্রশ্নে গণমাধ্যমকে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে বলা হয়, “যুক্তরাষ্ট্র আইআরএফ সম্মেলন বা ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট আয়োজন, পরিচালনা বা অর্থায়ন করছে না।
“আইআরএফ সম্মেলনটি প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হওয়া আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন থেকে আলাদা। ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক সম্মেলনটি যুক্তরাষ্ট্র ও সহযোগী দেশগুলোর সরকার আয়োজন করে থাকে। যার সবশেষ আয়োজনটি জার্মান সরকার সদ্য বিদায়ী বছরের ১০-১১ অক্টোবর বার্লিনে করেছে।”
যুক্তরাষ্ট্র দেশে এবং বিশ্বজুড়ে ‘মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতা, বিশেষত ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা রক্ষার বিষয়ে সরকার ও সিভিল সোসাইটির সম্পৃক্ততাকে স্বাগত জানায়’ বলে দাবি করেছে দেশটির দূতাবাস।
দূতাবাস বলেছে, “যুক্তরাষ্ট্র সরকার এবং এর পররাষ্ট্র দপ্তর আইআরএফ সম্মেলন বা ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট পরিকল্পনা, আমন্ত্রণ ও অংশগ্রহণকারীদের পরিচালনা বা প্রভাবিত করে না।
‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে অংশগ্রহণকারীদের বা সাবেক কর্মকর্তাদের বক্তব্য, মন্তব্য, অবস্থান ও মতামতকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মতামত, অবস্থান বা নীতি হিসেবে ব্যাখ্যা করা উচিত নয়’ বলেও দেশটির দূতাবাস সতর্ক করেছে।
‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে তারেক রহমানসহ বিএনপির তিন নেতার আমন্ত্রণ পাওয়া নিয়ে শনিবার বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন কংগ্রেস সদস্যের স্বাক্ষর করা এই আমন্ত্রণপত্র শুক্রবার দলের মহাসচিবের কাছে এসেছে।