আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মির্জা আজম বলেছেন, ‘পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণার পর বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা চাচ্ছে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নস্যাৎ করতে। পদ্মা সেতু বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের এক বিরাট অর্জন। আমরা যাতে এ অর্জনের সুফল ঘরে তুলতে না পারি, তার জন্য তারা ষড়যন্ত্র করছে।’
আজ শনিবার শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আজম এ কথা বলেন। শরীয়তপুর সার্কিট হাউস মিলনায়তনে এ বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
২৫ জুন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর শিবচরের কাঁঠালবাড়িতে জনসভায় ভাষণ দেবেন। ওই অনুষ্ঠান আয়োজন করবে আওয়ামী লীগ। সেখানে ১০ লাখ মানুষের সমাগম ঘটানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে আওয়ামী লীগ। তার প্রস্তুতি নিতে আজ শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের এ বর্ধিত সভা করা হয়েছে।
সভায় মির্জা আজম বিএনপির উদ্দেশে বলেন, ‘১৯৭৫ সালে যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করেছে, তারা আজও আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র করছে। ’৭৫-এর পুনরাবৃত্তির হুমকি দিচ্ছে। আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী সম্পর্কে অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলছে। তাদের কোনো ষড়যন্ত্রেই কাজ হবে না। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ১০ লাখ লোক সমাগম হবে, সারা দেশে উৎসব হবে। এটাও আমাদের আরেক বিজয় হবে।’
শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম এনামুল হক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তিবিষয়ক সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান, শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, সৈয়দ আবদুল আউয়াল প্রমুখ।
সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বর্ধিত সভাটি আয়োজন করা হয়েছে মূলত পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সফল করার প্রস্তুতির জন্য। পদ্মা সেতু আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সক্ষমতা অর্জনের প্রতীক। এই উন্নয়নের বার্তা জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দিতে নেতা-কর্মীদের মাঠে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বর্ধিত সভায়। সেতুর কারণে আমাদের অর্থনীতিতে বিরাট পরিবর্তন ঘটবে। উন্নত হবে এ অঞ্চলের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি। এ অঞ্চলের অর্থনীতি, কৃষি, শিল্প, শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে একত্রে কাজ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ।