আমেরিকার তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঙ্গার ব্যঙ্গ করে বাংলাদেশকে ‘তলা-বিহীন ঝুড়ি’ বলেছিলেন। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে কিসিঞ্জার নিশ্চয়ই তাঁর কটাক্ষের উচিত জবাব পাবেন। তবে রেলব্রিজটি শেষ হতে আরও কিছু সময় লাগবে। সেতুটি পুরোদমে চালু হলে রেলপথে ঢাকা থেকে কলকাতা যেতে সময় লাগবে মাত্র ছয় থেকে সাড়ে ছয় ঘণ্টা।
পদ্মা সেতুর ভূমিকম্প প্রতিরোধ ব্যবস্থা বা ‘ফ্রিকশন পেন্ডুলাম বিয়ারিং’ পৃথিবীর অন্য সব সেতুর চেয়ে অনেক বেশি, যা প্রায় ১০ হাজার টন। পানির নিচে ১২২ মিটার পর্যন্ত গভীরে প্রোথিত স্তম্ভের ভিত। পৃথিবীর আর কোনো দেশে আর কোনো সেতুর স্তম্ভ এত গভীরে নেই। পদ্মা সেতুকে খরস্রোতা পানির মধ্যে ধরে রাখবে ৪০টি স্তম্ভ।
নিজস্ব অর্থে স্বপ্নের পদ্মা সেতু তৈরি করেছে বাংলাদেশ। সেতু নির্মাণে চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, জাপান, ডেনমার্ক, ইতালিসহ ২০ দেশের বিশেষজ্ঞদের মেধা কাজে লাগানো হয়। কাঁচামাল তথা উপকরণ ব্যবহার হয় ৫০টি দেশের।
বিদ্রোহী কবির ভাষায়’
“আমি বসুধা-বক্ষে আগ্নিয়াদ্রি, বাড়ব-বহ্ণি, কালানল,/ আমি পাতালে মাতাল অগ্নি-পাথার-কলরোল-কল-কোলাহল!/ আমি তড়িতে চড়িয়া উড়ে চলি জোর তুড়ি দিয়া দিয়া লম্ফ।”