Close

ফ্রান্সে ছাত্রলীগের ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

বাংলাদেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দানকারী ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে ফ্রান্স ছাত্রলীগ।

রবিবার (৫ জানুয়ারি) প‍্যারিসের অদূরে একটি হলে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলা, বাঙালির স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জন্ম হয়। উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ও প্রচীন ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৭তম বার্ষিকী উপলক্ষে সবাইকে ভার্চুয়ালি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন  সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

ফ্রান্স ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ সরওয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সোনালী অর্জন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক বিপ্লবী সংগঠক ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্ষীয়ান নেতা এম এ কাশেম। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক দেলোওয়ার হোসেন কয়েজ।

সভায় বক্তব্য রাখেন অংগসংগঠনের নেতা কর্মী সহ ছাত্রলীগের একঝাঁক তরুণ প্রজন্ম।

সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দরা বলেন, “দেশ এখন দুর্বৃত্তদের হাতে চলে গেছে। দেশকে, দেশের মানুষকে, দেশের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করা ছাত্রলীগের নৈতিক দায়িত্ব। কারণ ছাত্রলীগ এই দেশের সৃষ্টির সঙ্গে জড়িত।”

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ কে দুর্বৃত্ত মুক্ত করার শপথ করেন নেতৃবৃন্দরা।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তার দীর্ঘ রাজনৈতিক পরিক্রমায় ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, ৫৮’র আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ৬ দফার পক্ষে গণ অংশগ্রহণের মাধ্যমে মুক্তির সনদ হিসেবে এই দাবিকে প্রতিষ্ঠা করে। এরপর ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে মুক্ত করে আনা, ৭০’র নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়লাভ এবং ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে পরাধীন বাংলায় লাল সবুজের পতাকার বিজয় ছিনিয়ে আনতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে অংশ নেয় ছাত্রলীগ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা সপরিবারে নিহত হওয়ার পর ছিনতাই হয়ে যায় স্বাধীনতার চেতনা ও গণতান্ত্রিক ধারা।

১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) দেশে ফিরে স্বাধীনতার চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক ধারা পুনরুদ্ধারে আন্দোলনের সূচনা করেন। ছাত্রলীগ ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে অনন্য ভূমিকা পালন করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

0 Comments
scroll to top