কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ কক্সবাজার শহরের কলাতলীতে বিএনপির শীর্ষ নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ ও গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের নাম ভাঙিয়ে ফ্রান্স প্রবাসী আমানি আলম রাজা মিয়ার জমি দখলের চেষ্টা ও রিসোর্টে ভাঙচুর-লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল স্থানীয় একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী আমানি আলম রাজা মিয়ার বোন সেলিনা মমতাজসহ পরিবারের সদস্যরা এ অভিযোগের কথা জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সেলিনা মমতাজ বলেন, ‘আমার ভাই আমানি আলম রাজা একজন ফ্রান্স প্রবাসী। প্রায় ৩৬ বছর যাবত সে পরিবারের মায়া ত্যাগ করে পরিবার সুখের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে আসছে। এর মধ্যে তিলে তিলে রক্ত পানি করে ঘাম ঝরিয়ে কামানো টাকা থেকে সামান্য সামান্য টাকা জমিয়ে কলাতলি ডিভাইন রোড় প্রায় ১৮ বছর আগে প্রায় ১৯ শতক জমি কিনে সেখানে রাজা রিসোর্ট নামে একটা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করায়। এতদিন সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে চলে আসলেও
হঠাৎ দেশের সরকার পরিবর্তন হয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থা নড়বড়ে হওয়ার সুযোগে রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙিয়ে হঠাৎ অপকর্মে লিপ্ত হয়ে উঠেছে কিছু লোকজন।’
তিনি বলেন, বিএনপির এক শীর্ষ নেতার পিএস পরিচয় বহন করা এক লোকের নেতৃত্বে ৫০/৬০ জন লোক হঠাৎ এসে বিএনপির প্রভাবশালী আরেক নেতার নাম ভাঙিয়ে আমার ভাই আমানি আলম রাজার ১৮ বছর আগে ক্রয় করা জায়গাটা জোর পূর্বক দখল নিতে গত ১ সেপ্টেম্বর রাজা রিসোর্টে ব্যাপকভাবে ভাংচুর চালায়। এতে রিসোর্টের সামনের ফটকের পুরো একটা অংশ ভেঙে রিসোর্টের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য লাগানো বিভিন্ন কয়েকটা গাছ কেটে ফেলে। এসময় রিসোর্ট দেখাশোনার জন্য দায়িত্বে থাকা আমার আরেক ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রী সহ হোটেলের স্টাফরা বাধা দিতে এগিয়ে আসলে তাদের উপর চড়াও হয়। নিরাপত্তার লক্ষ্যে রাজার ভাইয়ের স্ত্রী মোবাইল বের করে ভিডিও ধারণ করতে চাইলে একজন তাঁর হাত মুচড়ে দিয়ে তাঁর মোবাইল কেড়ে নেয়। সম্পূর্ণ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ আছে। রাজার ভাই খোকন রিসোর্টের সামনে একটা কুলিং কর্ণার করে। সেটিও ভাংচুর করা হয়। যার সিসিটিভি ফুটেজও সংরক্ষণ করা আছে। পরে তারা জোরপূর্বক রিসোর্টের সামনের ফটকের একাংশে অবস্থান নেয়। এই আতংকে রিসোর্টে দায়িত্বে থাকা সবাই আতংকে দিন পার করছে। ইতিমধ্যে রিসোর্টের প্রায় ১৪ লক্ষ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী আমানি আলম রাজা মিয়ার মা নুরুন্নাহার বেগম, ভাই আমিনুল ইসলাম, আমানি আলম রাজা মিয়ার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী আনোয়ারা সুলতানা ডলিও কথা বলেন।