বিদেশি একটি গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে বিএনপি অর্থায়ন পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (২ নভেম্বর) সচিবালয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
গোয়েন্দা সংস্থার নাম উল্লেখ না করে পাকিস্তানের আইএসআইয়ের দিকে ইঙ্গিত করে তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি বিএনপি বিভাগীয় সমাবেশের নামে চাঁদাবাজির বিশাল প্রকল্প নিয়েছে। তারা সব কালো টাকার মালিকদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করছে, ব্যবসায়ীদের বাধ্য করছে টাকা দেওয়ার জন্য এবং আমি শুনতে পেরেছি বিদেশি একটি গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকেও তাদের অর্থায়ন করা হচ্ছে।
‘এই গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে বেগম জিয়া টাকা নিয়েছিলেন সেটি আবার সেই সংস্থার প্রধান তাদের দেশের আদালতে স্বীকার করেছে। বিদেশি সেই গোয়েন্দা সংস্থার অর্থায়ন তারা পেয়েছে বলে আমি জানতে পেরেছি।’
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সহসা শেষ হবে আশা রুশ রাষ্ট্রদূতের
রুশ রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কির সঙ্গে বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গেও কথা হয়েছে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন প্রসঙ্গও এসেছিল সেটি নিয়েও কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী খোলাখুলিভাবেই বলেছেন, আমরা যুদ্ধ চাই না। এটা কারও জন্য মঙ্গল বয়ে আনে না। একই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা এগুলোও কারও জন্য মঙ্গল বয়ে আনে না। আমি সে বিষয়টিই সরকারের যে অবস্থান তাকে জানিয়েছি।
‘তাকে জিজ্ঞেস করেছি যে যুদ্ধ কবে শেষ হবে। তিনি বলেছেন সহসা শেষ হবে বলে আশা করছি। তাকে আমি বলেছি, যে যুদ্ধ শেষ হলে সবার জন্য মঙ্গল। তিনি আশার কথা বলেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি, সবকিছুর দাম বেড়েছে। পৃথিবীর সব দেশে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। শুধু যে তাদের অঞ্চলে কষ্ট হচ্ছে তা নয়। সারা পৃথিবীতেই মানুষের কষ্ট বেড়েছে। তিনি এটার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেননি।’
বাংলাদেশি টিভি চ্যানেলগুলোতে নিজ দেশের সিরিয়াল প্রচারে তথ্যমন্ত্রীর সহযোগিতা চেয়েছে রাশিয়া। এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২০১৭ সালে বাসস ও রাশান রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাশের মধ্যে একটি সমঝোতা সই হয়েছিল, নিউজ আদান-প্রদানের জন্য। সেটিকে চুক্তি আকারে করার জন্য তিনি একটি প্রস্তাব রেখেছেন। স্পুৎনিক নিউজ এজেন্সির সঙ্গেও বাসসের নিউজ আদান-প্রদানের একটি প্রস্তাব তিনি দিয়েছেন।
‘আরেকটি বিষয় তিনি বলেছেন, আমাদের দেশে অনেক দেশের সিরিয়াল চলে। এখানে রাশান সিরিয়াল দেখানো যায় কিনা সেটির কথা বলেছেন। আমি বলেছি, আপনারা প্রাইভেট টিভিগুলোকে প্রস্তাব করতে পারেন। কারণ এগুলো তারা নিজেরাই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। যদিও আমরা একটির বেশি সিরিয়াল একই সময়ে দেখানোর অনুমতি কাউকে দেই না। এছাড়াও কালচারাল এক্সচেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’