Close

ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার সদস্য হচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্রী টিউলিপ সিদ্দিক

Tulip Siddiq - UK Parliament official portraits 2017

যুক্তরাজ্যের নতুন সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য হচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ সিদ্দিক। প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার তাঁকে আর্থিক সেবা খাত নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দিচ্ছেন। আজ মঙ্গলবার ব্লুমবার্গ নিউজ এ খবর প্রকাশ করেছে।

লেবার পার্টি থেকে চতুর্থবারের মতো যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হওয়া টিউলিপ সিদ্দিককে (৪১) ‘মিনিস্টার ফর ফাইন্যান্স সিটি’ করা হচ্ছে। তিনি যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে আর্থিক সেবা খাতের নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় থাকবেন। যুক্তরাজ্যের আর্থিক সেবা খাতের নীতিনির্ধারণীতে নেতৃত্ব দেবেন তিনি। অর্থনৈতিক খাতের প্রযুক্তি ও ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ন্ত্রণ এবং ঋণ ব্যবস্থাপনা–সংক্রান্ত নীতিনির্ধারণের দায়িত্বও থাকবে তাঁর হাতে।

টিউলিপ সিদ্দিকের নিয়োগের বিষয়টি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেনি যুক্তরাজ্য সরকার। এ বিষয়ে অবগত সূত্রের বরাত দিয়ে ব্লুমবার্গ বলেছে, প্রধানমন্ত্রী স্টারমার তাঁকে এই পদে নিয়োগ দিচ্ছেন। গত মে মাসে টিউলিপ সিদ্দিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছিলেন, লেবার পার্টি ক্ষমতায় এলে আর্থিক খাতে প্রতিযোগিতা ও প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর ক্ষেত্রে যেসব বাধা রয়েছে, সেগুলো অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

মিনিস্টার ফর ফাইন্যান্স সিটি পদে বিম আফোল্যামির স্থলাভিষিক্ত হবেন টিউলিপ সিদ্দিক। বিগত কনজারভেটিভ সরকারে এই দায়িত্ব সামলেছিলেন এইচএসবিসি ব্যাংকের সাবেক এই কর্মকর্তা।

টিউলিপ সিদ্দিক ৪ জুলাই অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট আসন থেকে টানা চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালে তিনি প্রথম যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন। কনজারভেটিভ পার্টির একসময়ের নিরাপদ এই আসন লেবার পার্টিকে উপহার দিয়ে তিনি এখন আসনটিকে লেবার পার্টির নিরাপদ আসনে পরিণত করেছেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক। ২০১৬ সাল থেকে তিনি লেবার পার্টির হয়ে ছায়া শিক্ষামন্ত্রী, সর্বদলীয় পার্লামেন্টারি গ্রুপের ভাইস চেয়ার, নারী ও সমতা নির্বাচন কমিটির সদস্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পালন করেছেন।

সফিক আহমেদ সিদ্দিক ও শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক। ১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া টিউলিপ ২০১০ সালে ক্যামডেন কাউন্সিলের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এর মধ্য দিয়ে জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁর পথচলা শুরু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

0 Comments
scroll to top