গোপালগঞ্জ : বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে জন্মভূমি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় হাজারো নেতা-কর্মী ও সর্বস্তরের হাজারো জনতা রাজ পথে নেমে আসেন। করেছেন মিছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ বেদীতে জানিয়েছেন শ্রদ্ধা। এছাড়া আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে দেশে ফেরানোর আন্দোলনে রাজপথে থাকতে নিয়েছেন শপথ।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ দলে দলে এসে সমবেত হন টুঙ্গিপাড়া আধুনিক পৌর সুপার মার্কেটের সমানে। সেখান থেকে বেলা ১১ টায় হাজার হাজার জনতা মিছিল বের করেন। মিছিলটি টুঙ্গিপাড়া উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে গিয়ে শেষ হয়।
পরে তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর বঙ্গবন্ধু ও ৭৫ এর ১৫ আগস্ট তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ এবং বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন তারা।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শপথ বাক্যপাঠ করান টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ ইলিয়াস হোসেন।
এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ বাবুল শেখ, পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক বিশ্বাস, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফোরকান বিশ্বাস, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ বিশ্বাস, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আসলাম সরদার, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল হক বিশ্বাস, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ বাবুল হোসেন খোকন হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাবুল শেখ বলেন,বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে জোরপূর্বক ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ ও দেশত্যাগে বাধ্য করা । বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর হামলা-নির্যাতন, বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডি-৩২ নাম্বর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট এবং সারা দেশে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের বাড়িঘর ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, হত্যা, হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে টুঙ্গিপাড়ায় বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে। এতে অন্তত ২০ হাজার বিক্ষুব্ধ জনতা অংশ নেন।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোঃ ইলিয়াস হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা বিহীন বাংলাদেশে আমাদের কোন অস্তিস্থ নেই। তিনিই বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের একমাত্র নিরাপদ ঠিকানা। তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করিয়ে দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। তাই দেশ এখন অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়েছে। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে আমরা রাজপথে নেমিছে। যতদিন তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে না পারব, ততদিন আমরা রাজপথে থাকব।