চার বছর পর চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। আগস্টের প্রথম প্রহরের কয়েক মিনিট আগে ছাত্রলীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশ করা এই কমিটির মোট সদস্য সংখ্যা ৩১৬।
এতে গণহারে শুধু সহ–সভাপতিই করা হয়েছে ৮৩ জনকে। তাই অনেকে এই কমিটিকে ‘জাম্বো’ কমিটি আখ্যা দিয়েছে। তবে শোকের মাস শুরু হওয়ার আগ মুহূর্তে ‘আনন্দের কমিটি’ ঘোষনায় ক্ষোভও জানিয়েছেন আওয়ামী পরিবারের একাধিক নেতা।
ছাত্রলীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজের লিন্কঃ https://www.facebook.com/100064488534275/posts/423375783155369/?app=fbl
রোববার (৩১ জুলাই) রাত পৌনে ১২টায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত কমিটিটি ছাত্রলীগের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে প্রকাশ করা হয়। ঘোষিত কমিটিতে কারও বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্রপরিপন্থী ও সংগঠন বিরোধী অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তাকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে বলেও লিখিত আকারে জানায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
উত্তর জেলা ছাত্রলীগের এই ‘জাম্বো’ কমিটিতে সহ–সভাপতি করা হয়েছে ৮৩ জনকে। আরও আছেন ১১ জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ১১ জন সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সম্পাদক মণ্ডলীর অন্য পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আরও ১৮৬ জনকে। কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে ২৩ জনকে। সব মিলিয়ে ৩১৬ জনের বিশাল এক কমিটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
এর আগে ২০১৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন। সম্মেলনস্থলে সংঘর্ষের কারণে সম্মেলন বাতিল করে কমিটি ঘোষণা ছাড়াই চট্টগ্রাম ছাড়েন তৎকালীন ছাত্রলীগের সভাপতি ওসাধারণ সম্পাদক।
তবে ঘটনার পর একই বছরের ৫ মে তানভির হোসেন তপুকে সভাপতি ও রেজাউল করিমকে সাধারন সম্পাদক করে এক বছরের জন্য কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
কিন্তু এক বছরের মধ্যে কমিটি করতে না পারলেও পদ পাওয়ার পর একাধিক কারণে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় এই কমিটিকে।এর মধ্যে সীতাকুণ্ডের কমিটি অনুমোদন দেওয়ার জন্য টাকা লেনদেনের অভিযোগ ওঠে জেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারির বিরুদ্ধে।
এদিকে শোকের মাসের শুরুতে কমিটি ঘোষণার বিষয়টিকে অন্য চোখে দেখছেন রাজনীতি সচেতন অনেকে। তারা মনে করেন শোকের মাস আগস্ট শুরুর কয়েক মিনিট আগে কমিটি দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবে ছেলেরা নতুন পদ পেয়ে আনন্দ উল্লাস করবে।এর ফলে আগস্টের মর্ম নষ্ট হবে।
ফেসবুকে এমনই একজন লিখেছেন— ‘আগস্টে যদি ছাত্রলীগের ছেলেরাই আনন্দ করে, তাহলে আগস্টের মাহাত্ব্য কতটুকু থাকবে বাকিদের কাছে?’
তথ্যসূত্রঃ চট্টগ্রাম প্রতিদিন