হাটহাজারী যুগীরহাট, আমানবাজার থেকে মীরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝর্ণায় ঘুরতে গিয়ে ট্রেনের সাথে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ১৩জন নিহত।
মীরসরাইয়ে রেললাইন পার হওয়ার সময় মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১৩ যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী। নিহতদের বাড়ি হাটহাজারীর আমানবাজার এলাকায় বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে বড়তাকিয়া রেলস্টেশনের কাছে খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১৩ আরোহী নিহত হওয়ার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে। রেলওয়ে বলছে, গেটম্যান লাল পতাকা উড়িয়ে বারণ করলেও মাইক্রোচালক শোনেননি। তার অবহেলার কারণেই এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে দুর্ঘটনার পরপরই রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আনসার আলীকে আহ্বায়ক করে এ কমিটি গঠন করা হয় বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ আবুল কালাম চৌধুরী।
এ ঘটনায় মাইক্রোচালকের অবহেলা ছিল দাবি করে আবুল কালাম চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী মহানগর আপ যাচ্ছিল। একই সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মহানগর প্রভাতীও মিরসরাই বড়তাকিয়া এলাকায় একইস্থান পারাপার হচ্ছিল। বড়তাকিয়া রেলক্রসিংয়ে মহানগর আপ ট্রেনটি যাওয়ার আগে ক্রসিংয়ের গেটে থাকা বাঁশ ফেলানো হয়। এসময় মহানগর আপ বড়তাকিয়া ক্রস করার সঙ্গে সঙ্গে মাইক্রোবাসটি বাঁশ উল্টিয়ে ট্রেনের লাইনে উঠে পড়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা মনে করেছিলেন, ঢাকা থেকে আসা ট্রেনটি আসার আগেই যেতে পারবেন। কিন্তু রেললাইনে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে প্রভাতী ট্রেনটি চলে আসে এবং মাইক্রোবাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ঘটনার সময় গেটম্যান উপস্থিত ছিলেন। তিনি বার বার লাল পতাকা উঁচিয়ে তাদের বারণ করলেও মাইক্রোচালক শোনেননি। তার অবহেলার কারণেই এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে।’
তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, দুর্ঘটনার সময় সেখানে কোনো গেইটম্যান ছিলেন না। তিনি জুমার নামাজ আদায়ে মসজিদে গিয়েছিলেন।