চঞ্চল মনে করেন, কেবল পড়াশোনায় ভালো করাটাই জীবনের শেষ কথা নয়। সন্তানদের ‘ভালো’ মানুষ হিসেবে গড়েপিটে নেওয়াটা অভিভাবকদের মূল দায়িত্ব।
অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী মনে করেন, এখনকার সব অভিভাবকই নিজেরা লেখাপড়ায় এতটা ভালো ছিলেন না যে, তারা প্রত্যেকেই সন্তানদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ভালো ফল আশা করতে পারেন।
শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রথম দিন রোববার অভিভাবকদের উদ্দেশে কিছু পরামর্শ রেখে ফেইসবুকে দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছেন একসময় ‘শিক্ষকতা’ পেশায় থাকা চঞ্চল। শিক্ষার্থীদের ‘শুভকামনা’ জানিয়ে তাদের উদ্দেশেও কথা বলেছেন তিনি।
চঞ্চল বলেছেন, “আমরা কেউই মনে হয় এত ভালো স্টুডেন্ট ছিলাম না বা এসব পরীক্ষায় এত ভালো রেজাল্ট করিনি, যাতে সবাই তাদের সন্তানের কাছ থেকে গোল্ডেন জিপিএ আশা করতে পারি। হয়তো অনেক কষ্ট করে, ওদের জন্য চেষ্টা করেছেন।“
সবার মেধা যে সমান হয় না, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে ছেলেমেয়েদের এই সময়ে সাহস যোগানোর পক্ষে এই অভিনেতা।
“যে যার মেধা আর চর্চা অনুযায়ী ফলাফল করবে। পারলে ওদের মেধার ওপর আস্থা রেখে,
মানসিকভাবে সাপোর্ট দিন। কেউ একটি পরীক্ষায় একটু খারাপ করলে, পরের পরীক্ষায় যেন ভালো করতে পারে, সেই সহযোগিতা করুন।”
চঞ্চল মনে করেন, কেবল পড়াশোনায় ভালো করাটাই জীবনের শেষ কথা নয়। সন্তানদের ‘ভালো’ মানুষ হিসেবে গড়েপিটে নেওয়াটা অভিভাবকদের মূল দায়িত্ব।
“দয়া করে একটা কথা মনে রাখবেন, শুধু অ্যাকাডেমিক ভালো রেজাল্টই শেষ কথা নয়, তা দিয়ে পরিপূর্ণ মানুষও হওয়া যায় না। বরং সন্তানের আদর্শিক জায়গাটা ঠিক করে দিন, এটা অভিভাবক হিসাবে সবার প্রধান দায়িত্ব। আমার মনে হয়, দেশে মেধাবী মানুষের চেয়ে সৎ মানুষের প্রয়োজন বেশি।”
শিক্ষার্থীদের অন্তত পরীক্ষার এই কয়েকটা দিন ‘মনোযোগী’ হতে বলেছেন চঞ্চল।
“সারা বছর যাই করে থাকো না কেন, এই কটা দিন ফাঁকি না দিয়ে, মনযোগী হয়ে পরীক্ষাটা দাও।
কারণ সব ভালো তার, শেষ ভালো যার।
“শুধু বাবা-মায়ের জন্য নয়, জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে গেলে পড়ালেখার প্রয়োজন আছে, শিক্ষিত হওয়ার দরকার আছে।”
ঠাণ্ডা মাথায় পরীক্ষা শেষ করতে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের অনুরোধ জানিয়েছেন চঞ্চল।
পোস্টের শেষে বিশেষ দ্রষ্টব্যে এই অভিনেতা লিখেছেন, “দীর্ঘদিন শিক্ষকতা পেশায় ছিলাম তো, তাই একটু মাস্টারি করলাম আর কি!”