Close

আমেরিকার সেকেন্ড লেডি হচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত উষা ভ্যান্স

Screenshot

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ে পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আনন্দ-উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে রিপাবলিকান শিবিরে।

উচ্ছ্বাস কম নেই হোয়াইট হাউস থেকে সাড়ে ১৩ হাজার কিলোমিটার দূরে ভারতের এক গ্রামে।
কেননা ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে বসতে চলেছেন জেডি ভ্যান্স।

আর এ ভ্যান্সের স্ত্রী ঊষা চিলুকুড়ি ভ্যান্সের সঙ্গেও রয়েছে ভারতীয় যোগ। অনেকটা যেন বিরোধী ডেমোক্রেট নেত্রী তথা বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের মতোই।

অন্ধ্রপ্রদেশে অবস্থিত ঊষার আদি গ্রাম ভাদলুরুর মানুষজন আশা করে আছেন, এবার নিশ্চয় যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিছু সাহায্যের হাত এগিয়ে আসবে তাদের জন্য! আর তাই ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের সঙ্গে সঙ্গে আনন্দে মেতেছে ভারতের ছোট্ট গ্রাম ভাদলুরুও।

ক্যালিফোর্নিয়ার সানডিয়াগোতে জন্ম নেন ঊষা চিলুকুড়ি, বেড়ে ওঠা সেখানেই।

ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন ঊষা। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও প্রযুক্তি জার্নালের ম্যানেজিং এডিটর এবং ইয়েল ল জার্নালের এক্সিকিউটিভ ডেভেলপমেন্ট এডিটর হিসেবে কাজ করেন তিনি। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে স্নাতকোত্তরও করেন। আইনি বিভাগেও কাজ করেছেন দীর্ঘদিন।
২০১৪ সালে কেন্টাকিতে জেডির সঙ্গে বিয়ে হয় তার। তিনটি সন্তানও রয়েছে। ২০১৪ পর্যন্ত ঊষা রেজিস্টার্ড ডেমোক্রেট ছিলেন। পরে ২০২২ সালে তিনি দল বদলে রিপাবলিকান হন। জেডি ভ্যান্সের বিশ্বাস, স্ত্রীর হিন্দু ধর্মের প্রতি আনুগত্যই তাকে রাজনৈতিকভাবে এতদূর এগিয়ে দিয়েছে।

জেডি যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হন, তখন ট্রাম্প-ভ্যান্সের বিজয়ের আশায় প্রার্থনায় বসেন অন্ধ্রের হিন্দু পুরোহিত আপাজি। গ্রামের জামাই জেডি ভ্যান্সের জয় কামনা করে তিনি বলেন, আশা করি আমাদের মেয়ে আমাদের গ্রামকে সাহায্য করবে। সে তার শেকড় নিশ্চয় মনে রাখবে এবং এ গ্রামের জন্য ভালো কিছু করবে।

ঊষা ভ্যান্সের বাবা চিলুকুড়ি রাধাকৃষ্ণান চেন্নাইয়ে বড় হন, পরে তিনি আমেরিকায় চলে যান পড়াশোনার জন্য। ঊষা ভ্যান্স অবশ্য কখনো ভারতের সেই গ্রামে যাননি। তবে তার বাবা বছর তিনেক আগে একবার ফিরে গিয়েছিলেন গ্রামে। বছর তিনেক আগে নিজেদের এলাকা ও মন্দির ঘুরে দেখে যান তিনি।

ট্রাম্পের চূড়ান্ত জয়ের পরে ঊষার ঠিকানা হতে চলেছে, ১ নম্বর, অবজারভেটরি সার্কেল। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টদের সরকারি বাসভবন এটিই। এতদিন কমলা হ্যারিস নিজে এ ঠিকানার মালিক ছিলেন। এবার সেখানে জায়গা পাবেন আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত কন্যা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

0 Comments
scroll to top