চট্টগ্রাম ডেস্কঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগষ্ট গ্রেনেডহামলা দিবস উপলক্ষে ২৩ আগষ্ঠ মঙ্গলবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু হল মিলনাতয়নে এক আলোচনা সভাঅনুষ্ঠিত হয়।
নগর আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব আমিনুল হক বাবুল সরকারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এম এমোতালেব তালুকদার এর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিকসম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনি, চট্টগ্রাম মহনগর আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মোজাম্মেল হকচৌধুরী। বক্তব্য রাখেন, হাজী সেলিম রহমান, মোঃ শরিফুজ্জামান, একে এম ফজলুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহেদহায়দার খান, মোঃ গোলাম মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী জয়নাল আবেদীন, মোঃ আনছার হোসেন, কাউসারুজামান, মহিউদ্দিন আজিজি, কামরুদ্দিন, রফিক, নুরুল কবির বাবুল, মাহমুদুল হক, জসিম উদ্দিন, আসাদুজ্জামান আসাদ, বাদসামেম্বার, ফারুক, নুরুন্নবী, এন আই সাহেদী, হান্নান ভুইঞা, আলহাজ্ব জাফর আহমদ, রুবেল গুপ্ত, আরমান, আলমগীর, মাসুম, সোনা বাবু দাস, ফারুক, ইমাম উদ্দিন, বিশাল, জুয়েল, আমান, শাহিন, টুটুল ভট্টাচার্য, নুরুল আমিন, হাফেজ ইসমাইল, মহানগর ও বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ নেতৃবৃন্দ।
সভায় বক্তারা বলেন, আগস্ট হোক স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের প্রত্যয়। গ্রনেডহামলার মাঝেও মহান আল্লাহতায়ালার অশেষ রহমতে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আবারো প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রীশেখ হাসিনা। মহান আল্লাহতায়ালা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দিয়ে বাংলাদেশকে রক্ষা করবেন ও দেশের উন্নয়ন এবং জনগণেরউন্নতি ও কল্যাণের জন্য কাজ করাবেন বলেই হয়তো তাঁকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। যার বাস্তব প্রমাণ বর্তমানে আমরা দেখতে পাইসকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে চলতি বছরের ২৫ জুন স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ঐতিহাসিক উদ্বোধনের মাধ্যমে। বাস্তবায়ন হচ্ছে স্বপ্নেরমেট্রোরেল, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ মেগা প্রকল্পসমূহ।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যাশেখ হাসিনা আজ যেমন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তেমন তিনি বিশ্বনেতা। তাই স্বাভাবিকভাবেই স্বাধীনতাবিরোধী ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী গাত্রদাহে ভুগছে। আগস্ট মাস এলে তাদের গাত্রদাহের মাত্রা বেড়েযায়। শুরু করে নিত্যনতুন ষড়যন্ত্র। তাই আগস্ট মাসে আমাদেরকে বেশি করে সতর্ক থাকতে হবে। জাতীয় শোককে শক্তিতেপরিণত করে স্বাধীনতাবিরোধী চক্রান্তকারীদের রুখে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে নিজেদেরকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। আগামীতে জাতীয়নির্বাচন। তাই এখনই স্বাধীনতাবিরোধীরা ষড়যন্ত্র কূটকৌশল শুরু করে দিয়েছে। জাতীয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে তারানির্বাচন কমিশনের সংলাপে পর্যন্ত অংশ নেয়নি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নয়, তারা হত্যা এবং ক্যু–এর মাধ্যমে পেছনের দরজাদিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়। এটাই তাদের ইতিহাস। স্বাধীনতাবিরোধীদের একটাই লক্ষ্য যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় গিয়ে জনগণেরভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা আর নিজের আখের গোছানো, সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলা। দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণ নিয়েতাদের কিছু যায় আসে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে লন্ডনে বসে তারেক জিয়া নিত্য নতুন ষড়যন্ত্র করছে বলে বক্তারা বলেন।