চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম জেলার আওতাধীন সীতাকু- জঙ্গল সলিমপুর এলাকা থেকে আটটি স্বর্ণের বারসহ আনুমানিক দেড় কোটি টাকার স্বর্ণালংকারসহ ২ রোহিঙ্গা নাগরিক মা ও ছেলেকে আটক করেছে র্যাব-৭।
র্যাব-৭ চট্টগ্রামের অধিনায়কের পক্ষে সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বরা হয়, কক্সবাজার-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় র্যাব-৭, চট্টগামের একটি দল মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোকালে জানতে পারে, ইয়াবা বিক্রির লভ্যাংশ দিয়ে রোহিঙ্গারা সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে স্বর্ণের বার ও বিস্কুট উখিয়া ও টেকনাফ ক্যাম্পসমূহে পাচার করে আসছে এবং পরবর্তীতে তা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিচ্ছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এই অবৈধ স্বর্ণের বার চোরাচালান চক্রের ওপর নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং এক পর্যায়ে জানতে পারে, চট্টগ্রাম জেলার সীতাকু- থানাধীন সলিমপুর ইউপির ১০ নং ওয়ার্ডস্থ জঙ্গল সলিমপুর একটি ভাড়া ঘরের ভিতর এসব স্বর্ণ মজুদ করেছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ৩০ জুলাই সকাল ১০ টায় র্যাবের একটি দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামি জঙ্গল সলিমপুরে বসবাসরত মৃত মোজাহের আহমেদের পুত্র আসমত উল্লাহ (২৪) ও তার মা মোছাম্মৎ ছহুরা খাতুন (৬৮)-কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে আটক আসামিদের হেফাজতে থাকা কক্ষের ভিতর পশ্চিম পার্শ্বের সানশেডের ওপরে একটি প্লাস্টিকের বাটির ভেতর লাল শপিং ব্যাগ দ্বারা মোড়ানো অবস্থায় স্বর্ণের বার ৮টি, স্বর্ণের চেইন ৫টি, স্বর্ণের বালা ১ জোড়া, স্বর্ণের কানের দুল ৩ জোড়া, স্বর্ণের আংটি ৩ টি, স্বর্ণের লকেট ৪ টি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত আটটি স্বর্ণের বারের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি টাকা এবং বাকী স্বর্ণালংকারের আনুমানিক মূল্য ৫০ লাখ টাকা প্রায়।
আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায়, তারা রোহিঙ্গা নাগরিক। ২০১২ সালে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং সর্বশেষ তারা জঙ্গল সলিমপুর অবস্থান করে এই অপরাধমূলক কাজ করে যাচ্ছে। আসমত উল্লাহ ২০১৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার ঈদগাওয়ে অবস্থান করে, ২০১৪ সালে এজেন্সির মাধ্যমে তার এলাকার চাচা আব্দুস সালাম তাকে পাসপোর্ট করে ভিসা দিয়ে তাকে সৌদি আরবে নিয়ে যায়। সৌদি আরবে সে ২০১৪ সাল থেকে ২০২০ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত অবস্থান করে। অবৈধভাবে অবস্থান করায় ২০২০ সালে পুলিশ কর্তৃক ধৃত হয় এবং তাকে বাংলাদেশে প্রেরণ করা হয়। বাংলাদেশে আসার পর ২০২০ সালের ডিসেম¦রে সে বিয়ে করে ইদগাও হতে স্ত্রী ও মাসহ জঙ্গল সলিমপুর আগমন করে। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা ।
গ্রেফতার আসামি এবং উদ্ধারকৃত স¦র্ণ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।