গণপরিবহনে চাঁদাবাজির অভিযোগে তৃতীয় লিঙ্গের বেশধারী চার ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন-মৌসুমী, অনিকা, তুলি ও দুলী। তবে তাদের আসল নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
আটকের পর তাদের তল্লাশি নিয়ে দেখা গেছে, তাদের কেউই তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি নন, তারা পুরুষ। তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি সেজে তারা চাঁদাবাজি করে আসছিলেন।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোহসীন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
মোহাম্মদ মহাসীন বলেন, আটকের পর তৃতীয় লিঙ্গের চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি করা হয়। এরপর জানা গেছে, তারা মূলত তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি নন। তারা সবাই পুরুষ। তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি সেজে দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর উত্তরার বিভিন্ন যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি করতেন। দাবি করা টাকা না দিলে কাউন্টার ও গাড়িতে রীতিমতো তাণ্ডব চালাতেন। যাত্রীদের সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করতেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, আজ সকালে অভিযুক্তরা উত্তরা পশ্চিম থানার ৭ নম্বর সেক্টরের বিএনএস টাওয়ারের সামনে এনা পরিবহনের ম্যানেজার জিয়াউল হকের কাছে দুই হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। দিতে অস্বীকৃতি করলে তারা যাত্রীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ শুরু করেন।
মোহাম্মদ মোহসীন বলেন, একপর্যায়ে তিনি ৫০০ টাকা দিতে রাজি হন। কিন্তু তারা তাদের দাবি করা টাকার জন্য অনড় থাকেন। তারা ভুক্তভোগী জিয়ার পকেট থেকে এক হাজার ১০ টাকা নিয়ে নেন এবং আরও ৪৯০ টাকার জন্য কাউন্টারজুড়ে হইচই করতে থাকেন। এ ঘটনায় জিয়াউল হক বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেছেন।