খুজিস্তা নূর-ই নাহারিনঃ প্রেমের টানে দুদিন পর পর বিদেশীরা এসে আমাদের দেশে বিয়ে করে। অতঃপর তাঁরা চলে যান। তাঁরপরের সংবাদ কেউ কি জানেন ?
জানলে জানাতে পারেন।
এই প্রেমিক/প্রেমিকারা কি নিজ দেশে সন্তান, স্ত্রী/স্বামী, পরিবারকে গোপন করে কয়েকদিনের জন্য আনন্দ-ফুর্তি করতে আসেন নাকি সত্যিকারের চুম্বকীয় শক্তিতে এখানেই রয়ে যান?
ইউরোপ, অ্যামেরিকা,কানাডা সহ উন্নত প্রায় সব দেশেই প্রেম মানেই যৌনতা। দীর্ঘ দিন লিভ ইন রিলেশনের পরে তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্তে উপনীত হন। কথা নেই বার্তা নেই তবে কি তাঁরা কেবল বাদামী চামড়ার তীব্র আকর্ষণের স্বাদ আস্বাদনের জন্য প্রেম না করেই বিয়ে তে রাজী হন ?
প্রেমের টানে আমাদের দেশ থেকে প্রেমিক/প্রেমিকা নিয়ে যান না কেন ?
আমাদের দেশের পুত্র/ কন্যারা কি কেবলই ক্ষণিকের তরে আনন্দ দেওয়ার জন্য বেবহ্রিত পণ্য নাকি সত্যিকারের জীবন সঙ্গী/ সঙ্গিনী খুব জানতে ইচ্ছে করে।
সাদা চামড়া দেখলেই মানুষরা ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা সংবাদ পরিবেশনের উপযোগী খবর মনে করেন কিন্তু তারপরের খবর কেউ কি জানাতে পারেন ?
ইতালি থেকে আগত যুবকের ভাবভঙ্গী দেখে মোটেও সুবিধা জনক মনে হল না। গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে ভালো ভাবে কথা না বলেই উঠে গেলেন।
মধ্য প্রাচ্য, ভারত, পাকিস্তান এবং মিশরে মুতাহ ( ক্ষণিকের তরে) বিয়ের প্রচলন আছে। যা বিয়ের নামে কেবলই প্রহসন, কয়েক ঘণ্টা/ দিন/ মাস ব্যাপী সম্ভোগ।
প্রেমের টানে আমাদের দেশে বিয়ে করা এমনটি নয়তো ?
আমাদের দেশের কন্যারা এতো কমে বিকোবে কেন ?
প্রতারণা নাকি কেবলই বিকি-কিনি ?
আসলে কি হচ্ছে দরিদ্র পরিবারের সহজ-সরল রূপবতী এই কন্যাদের সাথে?
আন্তর্জাতিক এই বিবাহ সমূহে প্রেমিক/প্রেমিকার নাগরিক সনদ এবং পাসপোর্ট সহ সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসকে অবহিত করে সংযোগ স্থাপন করা, তাঁদের দায়বদ্ধতা থাকা অত্যাবশ্যক বলে মনে করি। নতুবা আমাদের দেশের পুত্র/কন্যাদের প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েই যায়।
(ফেসবুক থেকে)