Close

ফখরুল ইমাম কি সংসদে মিথ্যাচার করার শপথ নিয়েছিলেন? : আবদুল্লাহ হারুন জুয়েল

প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের পাঠ্য বইয়ে একটি ধর্মগ্রন্থকে বাদ দিয়ে অন্য একটি ধর্মগ্রন্থকে প্রাধান্য দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম। এর মাধ্যমে সংস্কৃতি বদলের চেষ্টা করা হচ্ছে অভিযোগ করে এগুলো কীসের আলামত সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলের এই এমপি।
বৃহস্পতিবার ( ৩০ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের মঞ্জুরি দাবির ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

পাঠ্যবই নিয়ে ফখরুল ইমামের মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কলামিষ্ট আবদুল্লাহ হারুন জুয়েল। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তার ওই স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

ফখরুল ইমাম সংসদে দাঁড়িয়ে অনর্গল মিথ্যা বললো, তার কোনো প্রতিবাদ হলো না? চুলেরকেল্লা মানেই মিথ্যা, তাদের তথ্য যাচাই বাছাই ছাড়া সে জাতির সামনে উপস্থাপন করলো কিভাবে? একজন সাংসদ কখনোই এতটা কাণ্ডজ্ঞানহীন হতে পারে না।

ফখরুল ইমাম বলেছেন:
১. ‘সবাই মিলে কাজ করি’ শিরোনামে মহানবীর সংক্ষিপ্ত জীবনী ছিল সেটা বাদ দিয়েছে।
২. ‘থ্রিতে ‘খলিফা আবু বক্কর’ শিরোনামে সংক্ষিপ্ত জীবনী, সেটা বাদ দিয়েছে।
৩. ক্লাস ফোরে খলিফা হযরত ওমরের সংক্ষিপ্ত জীবনী সেটা বাদ দিয়েছে।
৪. ফিফথে ‘বিদায় হজ্ব’ শেষ নবীর জীবনী একটা ছিল, সেটা বাদ দিয়েছে।’’

ডাহা মিথ্যাচার করেছে। এগুলোর কোনোটিই বাদ দেয়া হয় নি।

জাপার ফখা আরও বলেছেন:

৫. ‘পঞ্চম শ্রেণিতে ‘বই’ নামে একটা কবিতা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যেটা ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআন বিরোধী কবিতা।
৬. ষষ্ঠ শ্রেণিতে ‘লাল গরু’ নামক একটি ছোট গল্প আনা হয়েছে। যা মুসলিম শিক্ষার্থীদের শেখানো হচ্ছে— গরু হচ্ছে মায়ের মতো। তাই গরু জবাই করা ঠিক নয়।
৭. সপ্তম শ্রেণির বইতে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যয়ের ‘লালু’ নামক একটা গল্প ঢুকানো হয়েছে, যাতে শেখানো হচ্ছে হিন্দুদের কালিপূজা ও পাঠা বলির কাহিনি।
৮. অষ্টম শ্রেণির বইতে হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ, অর্থাৎ রামায়ণের সংক্ষিপ্ত রূপ।

ডাহা মিথ্যা। এগুলোর একটিও অন্তর্ভুক্ত করা হয় নি। জানতে ইচ্ছা হচ্ছে, পাঠাদরদী ফখরুল কি কোরবানি দেন না?

পাঠ্যপুস্তকগুলো খুঁজে দেখলাম রসুলের দেশে, পাঠান মুলুকের ভ্রমণ কাহিনী এবং ওকিং মসজিদে ঈদের জামায়াতের কাহিনী রয়েছে। আমাদের সময় থেকে এখন পর্যন্ত আরব্য উপন্যাস ও বাদশা আলমগীরের বানোয়াট কাহিনী রয়ে গেছে।

বইগুলো দেখার পর প্রশ্ন জেগেছে – বাংলা বইয়ে লাল মাওলানা ভাসানী ও খারেজি জঙ্গি তিতুমীরের জীবনী কেন?

ফখরুল ইমাম কি সংসদে মিথ্যাচার করার শপথ নিয়েছিলেন? তার বক্তব্য কি এক্সপাঞ্জ হবে না? মহান সংসদে মিথ্যা বলার কোনো শাস্তি কি নেই?

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

0 Comments
scroll to top