বিশ্ব অর্থনীতির পরিক্রমায় মুদ্রা বা নোটের গুরুত্ব অপরিসীম। আর সেই নোটে যদি থাকে সংগ্রামী মহান নেতাদের ছবি, তাহলে তো কথাই নেই। মহান নেতাদের প্রতিকৃতি বহু দেশের নোটের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, মুদ্রা বা নোটে সেসব ব্যক্তিদের ছবি দেওয়া হয়, যাদের নিয়ে পুরো জাতির আবেগ জড়িত। বহু দেশের নোটে থাকে সেদেশের জাতীয় নায়ক বা প্রতিষ্ঠাতা অর্থাৎ, জাতির জনকের প্রতিকৃতি।
আর্থসামাজিক স্থিতিশীলতার পাশাপাশি প্রতিটি দেশের নোটে ফুটে থাকে সে দেশের সাংস্কৃতিক, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতীক। মহান নেতাদের প্রতিকৃতি থাকায় কখনও কখনও এই নোটের মূল্যমানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাটি প্রভাবিত করে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকেও। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ অনেক দেশের নোটেই জাতির জনকের ছবি স্থান পেয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে মহান নেতাদের ছবি ব্যবহার করার বদৌলতে অর্থনৈতিক বিনিময়ের এই নোট হয়েছে আরও সমৃদ্ধ।
ভারতের মহাত্মা গান্ধী
ভারতীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬৯ সাল ছিল ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর জন্মশতবর্ষ। সেবারই প্রথম দেশটির মুদ্রায় (নোটে) স্থান পায় মহাত্মা গান্ধীর প্রতিকৃতি। সেই থেকে এখন পর্যন্ত তাকে দিয়েই ভারতীয় নোট চেনা যায়।
১৯৮৭ সালে রাজীব গান্ধী সরকার যখন ফের নতুন করে ৫০০ টাকার নোট চালু করে, তখন গান্ধীর মুখের ছবি সেই নতুন ৫০০ টাকার নোটে ছাপা হয়। কারণ, ৯ বছর আগে জনতা পার্টির সরকার উচ্চমূল্যের নোট ছাপা বন্ধ করে দিয়েছিল। রাজীব গান্ধী আবার ৫০০ টাকার নোট বাজারে আনেন। ১৯৯৬ সালে জাল নোট ঠেকাতে নোটে জলছবি এবং নিরাপত্তার আরও কিছু ফিচার যোগ করেন। আর সেই থেকেই গান্ধীজি সবসময়ের জন্য নোটে স্থান পেয়ে গেলেন।
পাকিস্তানের মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ
শুধু ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীই নয়, পাকিস্তানের নোট চিনতে হলে আগে চিনতে হয় পাকিস্তানের জাতির জনক মুহাম্মদ আলী জিন্নাহকে। মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ছাড়া পাকিস্তানি নোট যেন অচল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষেরাও মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর প্রতিকৃতি সংবলিত টাকা পকেটে রাখতেন। নতুন নোট বাজারে না আনা পর্যন্ত জিন্নাহর ছবিওয়ালা টাকায় লেনদেন করতেন।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ম মাহফুজুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, পৃথিবীর বহু দেশের নোটে তাদের মহান নেতার ছবি ব্যবহার হয়ে থাকে। এটা খারাপ কিছু না। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যেমন বঙ্গবন্ধু, ভারতে মহাত্মা গান্ধী, পাকিস্তানের মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর ছবি আমরা টাকার নোটে দেখতে পাই। তিনি বলেন, ভিয়েতনাম তাদের নোটে সেদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিপ্লবী নেতা হো চি মিনের ছবি ব্যবহার করে থাকে। একইভাবে মঙ্গোলিয়ার নোটে স্থান পেয়েছে দেশটির মহান নেতা চেঙ্গিস খানের ছবি। আমেরিকার নোটে জর্জ ওয়াশিংটন, চীনের নোটে দেখা যায় মাও সেতুংয়ের ছবি।
সারা দুনিয়া যাকে হো চি মিন নামে চেনে, ভিয়েতনামে তিনি ‘আঙ্কেল হো’। কারণ, সব ভিয়েতনামি তাকে পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য মনে করেন। ভিয়েতনামের টাকার নোটে সে ছাড়া আর কারও ছবি থাকবে এটা কল্পনাও করা যায় না। কারণ ভিয়েতনামের স্বাধীনতা সংগ্রামের পুরোধা তিনি। তিনি একজন বিপ্লবী কমিউনিস্ট নেতা। তিনি ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি পদে আসীন ছিলেন। হো চি মিন তার ছদ্মনাম। তার প্রকৃত নাম ছিল নুয়েন সেন কুং। হো গড়ে তোলেন ভিয়েতনামি মুক্তিবাহিনী। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় তিনি আমৃত্যু ভিয়েত কং-এর নেতৃত্ব দেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের পরাজয়ের পর হো ভিয়েতনামকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেন এবং নিজে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন।
তিনি সমস্ত মঙ্গোলদের সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক ছিলেন। তাই তো দেশটির নোটে স্থান পেয়েছে তাদের মহান নেতার ছবি। যিনি চেঙ্গিস খান নামেও পরিচিত। তিনি ছিলেন মঙ্গোল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম খান। মঙ্গোল উপজাতিদের একত্রিত করার জন্য তার জীবনের বেশিরভাগ সময় অতিবাহিত করার পর তিনি চীন এবং মধ্য এশিয়ার বিশাল অংশ জয় করেন।
চীন বিপ্লবের কিংবদন্তি মহানায়ক কমরেড মাও সেতুং। তার ছবি দেশটির টাকার নোটে স্থান পেয়েছে। একাধারে তিনি কবি, সংস্কারকারী, শাসক, সামরিক শক্তিতে বলীয়ান হওয়ার মতো গুণাবলি তাকে ইতিহাস বিশিষ্ট স্থানে অধিষ্ঠিত করেছে। অন্যদিকে তিনি বিশ্বে অন্যতম কিংবদন্তি।
১৯৬০ সালে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ব্যাংক নোটের প্রচলন শুরু হয়। রাজপরিবারের পক্ষ থেকে ব্যাংক নোট প্রচলনের সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রানি এলিজাবেথ। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর ব্যাংক অব ইংল্যান্ড রানির ছবির বদলে রাজা চার্লসের ছবিওয়ালা নোট আনার সিদ্ধান্ত নেয়।
বলা হয়, রানির ছবি বদলালেও মুদ্রার নকশা তেমন পাল্টানো হয়নি। ব্রিটেনের পাশাপাশি কানাডার কিছু নোট, নিউজিল্যান্ডের মুদ্রা, কমনওয়েলথের কিছু অংশের সব নোট-মুদ্রাতে এলিজাবেথের ছবিও পাল্টাবে। এদিকে, কেম্যান দ্বীপপুঞ্জের দেশটির নোটে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ছবি স্থান পেয়েছে। একইভাবে জিব্রাল্টার পাউন্ডেও রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ছবি স্থান পেয়েছে।
থাইল্যান্ডের নোটে স্থান পেয়েছে দেশটির রাজা ভাজিরালংকর্নের ছবি। প্রতিটি নোটের উল্টো দিকে থাইল্যান্ডের রাজত্বকারী রাজার ছবি দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে, যার সঙ্গে রাজকীয় সিলমোহরের মতো অন্যান্য চিহ্ন রয়েছে। বিপরীত দিকে থাইল্যান্ডের ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন চিত্র রয়েছে।
ইরানের নোটে স্থান পেয়েছে দেশটির ধর্মীয় প্রথম সর্বোচ্চ নেতা রুহুল্লাহ খোমেনির ছবি। তিনি ছিলেন একজন ইরানি ইসলামি বিপ্লবী, রাজনীতিবিদ এবং ধর্মীয় নেতা। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ইরানের প্রথম সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিষ্ঠাতা এবং ইরানি বিপ্লবের প্রধান নেতা, যারা মোহাম্মদ রেজা পাহলভিকে উৎখাত করে এবং ইরানের রাজতন্ত্রের অবসান ঘটায়।
জর্ডানের নোটে দেশটির রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহর ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ৫০ জর্ডানিয়ান দিনারের নোটে অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণের পাশে জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহর ছবি রয়েছে। আল-আকসা মসজিদের ছবি দেওয়া বিশেষ ইঙ্গিতপূর্ণ ঘটনা বলে ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বর্তমানে বাংলাদেশের ২ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা পর্যন্ত সব কাগুজে নোটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি রয়েছে। কোনও কোনও নোটের দুপাশে শেখ মুজিবের ছবি রয়েছে। এছাড়া ধাতব মুদ্রাগুলোতেও তার ছবি রয়েছে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে শেখ মুজিবের প্রতিকৃতি সংবলিত ১০ ও ৫০০ টাকার নোট ছাপে। আর ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর শেখ মুজিবের ছবিযুক্ত ১, ২ ও ৫ টাকার কয়েন চালু করে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার।
এরপর সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সব কাগুজে নোটেই বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ছাপানোর প্রক্রিয়া শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর অংশ হিসেবে ২০১১ সালের ১১ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত ২, ৫, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের নোট চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এদিকে, বাংলাদেশে ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তার তথ্য অনুসারে, দেশের সব ধরনের ব্যাংক নোট থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বাদ দেওয়া হতে পারে। ইতোমধ্যে সব ধরনের ব্যাংক নোটের নতুন ডিজাইন চেয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, নতুন নকশার ব্যাংক নোটে শেখ মুজিবের ছবি বাদ যেতে পারে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর অর্থবিভাগের ট্রেজারি ও ঋণ ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগের উপসচিব এলিশ শরমিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ব্যাংককে নতুন নোটের জন্য নির্দিষ্ট নকশার প্রস্তাব পাঠাতে অনুরোধ করেছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা জানিয়েছেন, নোট থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি বাদ দেওয়া কিংবা নতুন টাকা ছাপানোর ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি বলেন, আগামী দেড় থেকে দুই বছরের আগে নতুন নোট ছাপানো বা নোটের নকশা পরিবর্তনের কোনও সিদ্ধান্ত কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ নেয়নি।
এছাড়া, ওমানের নোটে স্থান পেয়েছে দেশটির সাবেক সুলতান কাবুস বিন সাইদ আল সাইদের ছবি। মৃত্যুর সময় তিনি ছিলেন মধ্যপ্রাচ্য এবং আরব বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা নেতা।
বাহরাইনের নোটে স্থান পেয়েছে দেশটির বাদশাহ হামাদ বিন ঈসা আল খলিফার ছবি। একইভাবে সৌদি আরবের নোটে স্থান পেয়েছে দেশটির বাদশাহ সালমানের ছবি।
যুক্তরাষ্ট্রের ১০০ ডলারের নোটে স্থান পেয়েছে বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের ছবি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন তিনি। যদিও তিনি কখনও দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন না।
দক্ষিণ আফ্রিকার র্যান্ড নোটে নেলসন ম্যান্ডেলার ছবি রয়েছে, যা দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতীক হিসেবে গণ্য হয়।
মালয়েশিয়ার রিংগিত নোটে প্রথম মালয় সম্রাট তুংকু আবদুল রহমানের ছবি রয়েছে।
১০০ পেসো নোটে আর্জেন্টিনার প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি ইভা পেরনের ছবি রয়েছে। এছাড়া নতুন নোটে আর্জেন্টিনার স্বাধীনতার নায়ক জোসে দে সান মার্টিনের ছবিও দেখা যায়।
নিউজিল্যান্ডের টাকার নোটে বেশ কয়েকজন বিখ্যাত ব্যক্তির ছবি রয়েছে। ২০১৬ সালের পর থেকে প্রচলিত নতুন নোটগুলোর ডিজাইনে বিভিন্ন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব এবং প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখা যায়। দেশটির ৫ ডলারের নোটে স্যার এডমন্ড হিলারির ছবি স্থান পেয়েছে, যিনি মাউন্ট এভারেস্টের প্রথম আরোহী হিসেবে পরিচিত। ১০ ডলারের নোটে রয়েছে কেট শেপার্ডের ছবি, যিনি নিউজিল্যান্ডে নারীদের ভোটাধিকার আন্দোলনের একজন নেত্রী। ২০ ডলারের নোটে রয়েছে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ছবি। ৫০ ডলারের নোটে রয়েছেন স্যার আপিরানা নাটা, যিনি মাওরি সংস্কৃতি সংরক্ষণ এবং মাওরি ভাষার প্রচারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন। ১০০ ডলারের নোটে স্থান পেয়েছেন স্যার আর্নেস্ট রাদারফোর্ড, যিনি নিউক্লিয়ার ফিজিকসের জনক নামে পরিচিত।
বাহামাসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম প্রধানমন্ত্রী স্যার লিন্ডেন পিন্ডলিং, যিনি বাহামাসের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেন এবং দেশটির প্রথম নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১০০ ডলারের নোটে আরথার ডিয়ন হানার ছবিও রয়েছে। তিনি একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ এবং বাহামাসের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। হানা ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন এবং তিনি বাহামাসের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানার ১০০ পুলার নোটে সিরেটসে খামা’র ছবি রয়েছে। তিনি বতসোয়ানার প্রথম প্রধানমন্ত্রী এবং পরে রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তার নেতৃত্বে বতসোয়ানা ১৯৬৬ সালে স্বাধীনতা অর্জন করে এবং তিনি দেশটির আধুনিকায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
কম্বোডিয়ার নোটগুলির মধ্যে রাজা সিহানুকের ছবিও পাওয়া যায়, যিনি কম্বোডিয়ার আধুনিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র।
কোস্টারিকার মুদ্রার নাম হলো কোলন এবং এর নোটে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব এবং দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতীক রয়েছে।
কিউবার মুদ্রা পেসোর কিছু নোটগুলোতে ফিদেল ক্যাস্ট্রোর ছবি আছে। এছাড়াও চে গুয়াভারারও ছবি রয়েছে।
মুদ্রার নাম হলো বলিভার। দেশটির মুদ্রায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব এবং ইতিহাসের প্রতীক চিত্রিত করা হয়। ১০০ বলিভার নোটে সিমন বলিভারের ছবি রয়েছে, যিনি দক্ষিণ আমেরিকার স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা এবং ভেনিজুয়েলার জাতীয় নায়ক।
সংবাদ সূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন।
(ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত বিভিন্ন দেশের ব্যাংক নোটের ছবি)